
খুলনা অফিস ॥
টানা বৃষ্টিতে কয়রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষত কাটিয়ে উঠতে না উঠতে গত ১৪ জুন সোমবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল, অসংখ্য মাছের ঘের, সবজিখেত, বীজতলা, ফসলের মাঠ, রাস্তা ও বাড়ির আঙিনা। এতে মাছের ঘের ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
গত ২৬ মে ইয়াসের প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভেঙে উপজেলার চারটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে লক্ষাধিক মানুষ। বাঁধ মেরামত করা হলেও পানি সরতে না সরতেই টানা বৃষ্টির পানিতে ফের এখানকার খাল, বিল, পুকুর, রাস্তা ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। টানা বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ নিয়ে বন্যা আতঙ্কে পড়েছেন নদী পাড়ের মানুষ। তবে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। ঘরের বাইরে না যেতে পারায় তাদের সংসারে চলছে চরম দুর্ভোগ। শুধু তাই নয়, যানবাহনের চালকরাও পড়েছেন বিপাকে। দুই-চারটি যানবাহন বের করা হলেও বেড়েছে ভাড়া। ফলে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। ব্যবসায়ীরা ক্রেতার জন্য বসে থাকলেও মিলছে না তেমন ক্রেতা। অলস সময় পার করছেন ইজিবাইক, ভ্যান ও অটোচালকরা।
উপজেলা মানবকল্যাণ ইউনিটের সভাপতি মো. আল আমিন ফরহাদ বলেন, ড্রেনেজের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় কয়রা সদরের সড়ক সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায়। এতে সবাইকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কয়রার ভ্যানচালক আ. হাই বলেন, বৃষ্টির কারণে রাস্তায় তেমন মানুষজন নেই। ভ্যান চালিয়েই তার জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। মানুষ না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন তিনিসহ শত শত ভ্যানচালক। যাদের একমাত্র আয়ের উৎস ভ্যান চালানো। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, কয়রায় কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে প্রায় ১ হাজার ৫০০ মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। মাছচাষিদের মাছ টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিমেষ বিশ্বাস জানান, টানা বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। এতে মাছের ঘের ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি অপসারণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।