
আমিষ ডেস্ক ॥
রাজধানীর বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে দাম। তবে সবজির দাম কমলেও আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে পেঁয়াজের দর। সপ্তাহের ব্যবধানে মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দামের ঝাঁজে চোখে পানি আসার যোগাড় স্বল্পআয়ের মানুষের। গত ২৫ অক্টোবর শুক্রবার রাজধানীর শান্তিনগর, কাওরানবাজার ও তুরাগ এলাকার বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দামের এ চিত্র পাওয়া যায়। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বাজারে এখন শীতকালীন সবজির যথেষ্ট সরবরাহ। তাই এগুলো কিনতে তেমন বেগ পোহাতে হচ্ছে না সাধারণ ক্রেতাদের। কিন্তু পেঁয়াজের দামের ফের ঊর্ধ্বগতি উদ্বেগের বিষয়। গত ২৫ অক্টোবর খুচরাবাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১১০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি) পেঁয়াজের দাম বাড়ার এ তথ্য তাদের গত বাজারদরের প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে। নতুন করে আবার পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন বলেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম। তাই আবার দাম বাড়ছে। তিনি বলেন, দেশি পেঁয়াজের মজুত শেষের দিকে। পাবনা, ফরিদপুর ও রাজশাহীতে দেশি পেঁয়াজের কিছু মজুত থাকলেও আবহাওয়া খারাপের জন্য বের করা হচ্ছে না বলে আমার ধারনা। কারণ, বৃষ্টির কারণে তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে। এছাড়া মিয়ানমার থেকে যে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে তার মান ভালো না। আর ভারত থেকে তো আমদানি এখনো বন্ধ আছে। তাই সহসাই পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা কম। তবে গত সপ্তাহে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ভারত চলতি মাসের শেষের দিকে পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে। এটা হলে পেঁয়াজের দাম আবার ৬০ থেকে ৬৫ টাকার মধ্যে চলে আসবে। কারণ, ভারতে ইতিমধ্যে পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। এদিকে গতকাল বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজির মধ্যে প্রতি কেজি বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, সিম ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁকরল, ঝিঙা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, গাঁজর ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এই দাম গত সপ্তাহের তুলনায় সবজিভেদে কেজিতে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কম। এছাড়া আকারভেদে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। তবে কাঁচামরিচের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় আরো বেড়েছে। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাছের মধ্যে পাঙ্গাস ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, রুই, কাতলা ২২০ থেকে ৩৫০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৭৫০ টাকা, চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৯০০ টাকা, কোরাল ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাংসের মধ্যে প্রতি কেজি গরু ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা, খাসি ৮০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, কক মুরগি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা ও লেয়ার মুরগি ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।