
উপজেলার কামারপুকুর গ্রামের অসুরখাই গ্রামের কৃষক জামিরুল ইসলাম বলেন, বিঘাপ্রতি জমির ধান কাটা-মাড়াইয়ের জন্য সাড়ে তিন মণ ধানের মজুরিতে শ্রমিকদের সঙ্গে চুক্তি হয় তাঁর। তাঁর তিন বিঘা ধানিজমি আছে। তবে শ্রমিকেরা কিছু ধান কাটার পর আর আসছেন না। এদিকে দফায় দফায় বৃষ্টিতে জমিতে থাকা ধান নষ্ট হওয়ার উপক্রম। তিনি আরও বলেন, আশপাশের এলাকায় শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়ে দিয়েছেন কৃষকেরা। এতে চুক্তিবদ্ধ অনেক কৃষক চরম বেকায়দায় পড়েছেন। চুক্তিবদ্ধ কৃষকের কাজ না করে অন্যত্র বেশি মজুরিতে কাজ করছেন শ্রমিকেরা।
চৌমুহনী এলাকার ভ্যানচালক তবারক হোসেন জানান, সারা দিন ভ্যান চালিয়ে যে আয় হতো, ধান কেটে তার দ্বিগুণ আয় করছেন তিনি।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় কৃষকের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৭ হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। ব্রি-ধান ৮১, ব্রি-ধান ৮৪, ব্রি-ধান ৮৮, ব্রি-ধান ৮৯, ব্রি-ধান ২৮, জিরাশাইলসহ হাইব্রিড জাতের বেশ কিছু ধানের আবাদ করেছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া ২ হেক্টর প্রদর্শনী প্লটের জমিতে প্রথমবারের মতো চাষ হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ ’।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহীনা বেগম বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের হাওর এলাকায় আগে ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়। এ সময় এ অঞ্চলের কৃষিশ্রমিকেরা অন্য এলাকায় কাজ করতে যান। তাঁরা ফিরে এলে কয়েক দিনের মধ্যে এ সংকট আর থাকবে না। তবে এবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে কৃষকেরা কিছুটা চিন্তিত। কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, এই সময় জমিতে পানি জমে থাকলেও ধানের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।