

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ ডিমলা উপজেলার দশ ইউনিয়নের নিচু আবাদী জমির উঠতি বোরো ধান ভারী বৃদ্ধির কারনে তলিয়ে গেছে।রবিবার (১৫ মে) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সুন্দর খাতা, বালাপাড়া, তিতপাড়া,খগাখড়িবাড়ী, পশ্চিম ছাতনাই, গয়াবাড়ী, ছোটখাতা, ঝুনাগাছ চাপানী, নাউতারা গ্রামের ফসলিমাঠ গুলো বৃস্টির পানিতে তলিয়ে গেছে।
কৃষকরা জানায় বোরো ধানের এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। ঠিক সময় এলাকায় ভারী বৃস্টিপাতের কারনে নিচ এলাকার বোরো পাকা ধান তলিয়ে গেছে। ধান কাটার আধুনিক যন্ত্র পর্যাপ্ত না থাকা ও ধান কাটা শ্রমিক সংকটে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।বাধ্য হয়ে শ্রমিক সংকটের কারনে অনেক কৃষক পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিজেরাই ধান কাটা শুরু করেছে।খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক প্রিন্স জানান, ৭ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করেছি।আবাদ হয়েছে ভাল। হটাৎ ভারী বৃস্টির কারনে ধান ক্ষেত গুলো তুলিয়ে যায়। এমনিতেই শ্রমিক সংকট আবার ধান ক্ষেতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা এজন্য বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে তবুও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।
বালাপাড়া গ্রামের কৃষক জিকরুল হক জানান, আট বিঘা জমির ধান ৯৫ ভাগ পেকেছে বিঘা প্রতি (৩০ শতাংশ) জমির ধান কাটতে ৫ হাজার টাকা দিলেও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ধান কাটা শ্রমিক না থাকায় কোমর পরিমান পানিতে দু- একটা দিনমুজুর আর ছোট ছোট ছেলেদের নিয়ে ধান কাটতে হচ্ছে। কৃষক সফিয়ার রহমান বলেন উজানের পানির ঢলে ধান ক্ষেত তলিয়ে যাচ্ছে ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। নিজেরাই ধান কাটতে বাধ্য হয়েছি। ধান ক্ষেতে কোমর পরিমান পানি থাকায় চার পাঁচটি কলা গাছ এক সঙ্গে বেঁধে ভেলা সাজিয়ে ধানের আঠি নিয়ে আসতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতর সুত্রে জানা যায়, ডিমলা উপজেলায় বোরো মৌসুমে প্রায় ১১ হাজার ৫০০ হেক্টরের বেশীতে এবার বোরো আবাদ হয়েছে জানিয়ে ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী বলেন ভারী বৃস্টির কারনে নিচ জমির ধান তলিয়ে গেছে। দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দেয়া হয়েছে কৃষকদের।তবে শ্রমিক সংকট দেখা যাওয়ায় অনেক এলাকার কৃষকেরা আধুনিক যন্ত্রপাতি হারভেস্টার ব্যবহার করে ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছে।