
ময়মনসিংহের নান্দাইলে এবার শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু দাম নিয়ে হতাশ কৃষকরা। ভালো দাম পাচ্ছে না কৃষকরা। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শত শত কৃষক। বাধ্য হয়ে কেউ পানির দরে শসা বিক্রি করছেন, আবার মজুরি খরচই উঠছেনা বলে অনেকেই ক্ষেতে নষ্ট করছেন।
এক মণ শসা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২৪০ টাকা দরে। এতে তাদের লাভ হচ্ছে না। পড়েছেন লোকসানের মুখে। শসা চাষে যে টাকা খরচ হয়েছে তা উঠছেনা শসা বিক্রি করে।
নান্দাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর শসার আবাদ হয়। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে অন্য জেলাতেও সরবরাহ করা হয় এখানকার শসা। বিগত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় পাইকাররা কৃষকের ক্ষেত থেকেই শসা কিনে বিভিন্ন জেলায় পাঠান। কিন্তু এবছর ন্যায্য দাম না পেয়ে লোকসানের আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ভালো দাম পাওয়ায় এবার নান্দাইলে শসা চাষে বেশি আগ্রহী হন কৃষকরা। এ বছর নান্দাইলে ১২০ হেক্টর জমিতে শসা চাষ হয়েছে।
উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের কৃষক মো.খোকন ২০ শতক, বাহার উদ্দিন ২৫ শতক, সাত্তার ৪০ শতক, হবি ২৫ শতক, মোজাম্মেল ৪০ শতক, রিটন ৩৫ শতক জমিতে শসা চাষ করেছেন।
তারা জানান, এবার শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিদিনই পাইকারের কাছে শসা বিক্রি করছি। কিন্তু দাম পাচ্ছি না। ১৬০ থেকে ২৪০ টাকা মণ দরে শসা বিক্রি করছি। এত কষ্ট করেও লাভ হচ্ছে না। এ জন্য লোকসানের মুখে পড়বো।
কৃষক সাত্তার বলেন, শসা বেইচ্চা বীজের টেহা কোনমতে উঠবো। কামলা ও সারের দাম লস। ব্যাপারীরা শসা নিবার চায়না। ফালা ফালা করে।
কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, রমজানের পূর্বে ও শুরুতে আমরা কৃষকের ক্ষেত থেকে প্রতি মণ শসা ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা দরে কিনেছি। মোকামে দাম বাড়লে কৃষকেরাও ভালো দাম পেতো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিছুজ্জামান বলেন, এখন শসার মৌসুম প্রায় শেষের দিকে। এবছর নান্দাইলে ১২০ হেক্টর জমিতে শসা চাষ করা হয়েছে। আর শসার বাম্পার ফলনও হয়েছে। কিন্তু এখন দাম কম থাকায় কৃষকের লাভ কম হচ্ছে।