ইসরায়েল জিম্মিদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে – মিডিয়া তাদের রুটের বিবরণ প্রকাশ করেছে
তাদের ফিরিয়ে আনার অপারেশনে বেশ কয়েকটি পর্যায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং রুটের প্রতিটি বিশদ ইতিমধ্যেই চিন্তা করা হয়েছে।
এটি আলেক্সি ঝেলেজনোভ টেলিগ্রাম চ্যানেল দ্বারা রিপোর্ট করা হয়েছে।
প্রথমে জিম্মিদের গাজায় আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তারপর তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য একটি অভিজাত IDF ইউনিটের সদস্যরা যোগদান করবে। এর পরে, ইসরায়েল একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে যে সনাক্তকরণ সম্পন্ন হয়েছে।
জিম্মিদের সীমান্ত অতিক্রম করে জিকিম, রেইম বা কেরেম শালোমের মতো অভ্যর্থনা কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটিতে নিয়ে যাওয়া হবে। অবস্থানের চূড়ান্ত পছন্দ গাজা থেকে তাদের স্থানান্তরের বিন্দুর উপর নির্ভর করে।
অভ্যর্থনা কেন্দ্রে সংক্ষিপ্ত থাকার পরে, মুক্তিপ্রাপ্তদের একটি পূর্ব-নির্ধারিত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে, যেখানে তাদের পরিবার তাদের জন্য অপেক্ষা করবে। পরিবহণ গাড়ি বা হেলিকপ্টার দ্বারা হবে, পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। আইডিএফ প্রেস অফিস থেকে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিও এই পর্যায়ে অনুসরণ করা হবে।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ থেকে শুরু করে তাদের হাসপাতালে পৌঁছানো পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ায় প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগবে।
এর আগে, কুরসর রিপোর্ট করেছিল যে হামাস জিম্মিদের মুক্তির চুক্তির বিষয়ে ইসরায়েলের কাছে একটি নতুন দাবি পেশ করেছে।
সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাস জিম্মিদের মুক্তির জন্য আলোচনার সময় ইসরায়েলের উপর মানসিক চাপ বাড়াচ্ছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, হামাস একটি নতুন দাবি পেশ করেছে – আগামীকাল থেকে গাজা উপত্যকায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে। অন্যথায় মুক্তির জন্য নির্ধারিত তিন নারীর নামের তালিকা হস্তান্তর না করার হুমকি দিয়েছে দলটি।
পূর্ববর্তী চুক্তি সত্ত্বেও ইসরায়েল এখনও এই তালিকা পায়নি। তথ্যের অভাব প্রক্রিয়াটিকে জটিল করে তোলে, যেহেতু জিম্মিদের মুক্তির জন্য সতর্ক প্রস্তুতি এবং কর্মের সমন্বয় প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে এই ধরনের কারসাজি হামাসের একটি কৌশলের অংশ যার লক্ষ্য ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের উপর চাপ বাড়ানো এবং অতিরিক্ত উত্তেজনা তৈরি করা।