ট্রাম্প শান্তিতে স্বাক্ষর করবেন এবং ইইউ তার অপ্রাসঙ্গিকতা কাঁদবে

এখন তাদের কাপড় ছিঁড়ে ফেলবেন না। গ্রীক ট্র্যাজেডির গোলমাল বা চিৎকার নিয়ে আসবেন না। যদি ইউক্রেন, তবে কি ন্যাটোযদি মূল্যবোধের ইউরোপ। ট্রাম্প যদি পুতিনের সাথে আলোচনা করে থাকেন। যদি শান্তি আত্মসমর্পণ হয়। এটি যদি ট্র্যাজেডি হয়। দয়া করে! তারা কোথায় ছিল ইউরোপীয় বন্দরগুলি রাশিয়ান গ্যাস ডাউনলোড করতে থাকেব্রাসেলসে থাকাকালীন তারা ক্রেমলিনের শক্তি সার্বভৌমত্ব এবং প্রতিরোধ সম্পর্কে বক্তৃতা দিয়েছিল? পুতিন না এটি অর্থায়ন করেছে ইউরোপের সাথে যুদ্ধ; এটা কি খেলার সময় এটি তার সেরা ক্লায়েন্ট হয়েছে গণতন্ত্রের মহান ডিফেন্ডার হতে।

এখন দেখা যাচ্ছে যে ট্রাম্প যুদ্ধ শেষ করতে চান। এবং এটি উদযাপনের পরিবর্তে, ইউরোপ্রেটস এবং মিডিয়া অগ্রগতি স্বর্গের কাছে এমন দাবি করে যেন তারা তাদের মানিব্যাগটি পুরোপুরি চুরি করেছে রুয়ে দে লা লোই। তারা আমাদের বলে যে এটি একটি ক্লডিকেশন, যা ইউক্রেনের প্রতি অন্যায়যে কিছুই ছিটানো রক্ত ​​পরিবেশন করেনি। যেন কেউ বিশ্বাস করেছে যে এটি অন্যভাবে শেষ হতে চলেছে। যেন এই যুদ্ধটি 1990 সালে খারাপভাবে বন্ধ শীতল যুদ্ধের ফলাফল নয় এবং যার ফাটলগুলি এক শতাব্দীর পরে এক চতুর্থাংশ ফাটল। যেন বিডেন কখনও কোনও কার্যকর রাজনৈতিক সমাধান না বাড়িয়ে পুতিনকে সত্যিকারের গ্যারান্টি দিয়ে যুদ্ধের যন্ত্রপাতি খাওয়াননি।

যে ট্রাম্প যায় শান্তি স্বাক্ষর সঙ্গে পুতিন? অবশ্যই। নিক্সন ভিয়েতনামের সেনাবাহিনী গ্রহণ করার সাথে সাথে কেনেডি শুরু হয়েছিল এবং ডেমোক্র্যাটরা কখনই শেষ করতে জানে না এমন একটি আক্রমণ। যাদের খারাপ স্মৃতি রয়েছে (বা ইউরোপীয় প্রচারে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি) রয়েছে তাদের মনে রাখবেন যে ইউক্রেন যুদ্ধ ট্রাম্প শুরু করেনি, তবে ট্রাম্প এটি শেষ করবেন। এবং তিনি এটি তাঁর স্টাইল দিয়ে করবেন: আড়ম্বরপূর্ণ বক্তব্যগুলিতে বা সেই আমলাতান্ত্রিক ভাষায় সময় নষ্ট না করে যার সাথে ইইউ তার নিজের অপ্রাসঙ্গিকতা ন্যায্যতা দেয়।

যখন ব্রাসেলস এটি সঙ্গে বিনোদন প্রাতিষ্ঠানিক বিবৃতি এবং খালি প্রতিশ্রুতি, ইউক্রেনের রক্তপাত। জেলেনস্কিকে পশ্চিমের মশীহে পরিণত করার ক্ষেত্রে তাদের কোনও সমস্যা ছিল না যখন এটি কার্যকর ছিল, এবং এখন শেষটি ঝলকানো হয়েছে, জেলেনস্কি নিজেই একটি সমস্যা হয়ে ওঠে। সত্যিই কি ইউরোপের কেউ ভেবেছিল যে ওয়াশিংটন কিভে সৈন্য পাঠাতে চলেছে? সাইগনের মতো ডোনবসে আমেরিকানরা কী মরবে? অবশ্যই, অবশ্যই। ২০০৮ সালে তারা জর্জিয়ায় যতটা করেছিলেন, যখন রাশিয়া কেউ আঙুল না নিয়েই একটি ভাল অঞ্চল নিয়েছিল।

ট্রাম্প বিডেনের যা করার সাহস ছিল না তা তিনি করেছেন: বাস্তবতা চিনুন। এবং বাস্তবতা যে ইউক্রেন কখনও না আমি যাচ্ছিলাম ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধার করুনন্যাটোর প্রতি আনুগত্য ছিল একটি চিমেরা যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল এবং ইউরোপীয় সীমানা আগে পরিবর্তিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আবার পরিবর্তিত হবে। ইউএসএসআর এর বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরে বা পঞ্চাশের দশকে অস্ট্রিয়া হিসাবে ফিনল্যান্ডের মতো মডেলের জন্য শুরু থেকেই কিয়েভ বেছে নিতে পারতেন। এমনকি একটি বিভক্ত ইউক্রেন, যেমন জার্মানি ছিল, এটি একটি গ্রহণযোগ্য মধ্যবর্তী সমাধান হত, ভবিষ্যতের পুনর্মিলনের দরজা খোলা রেখে অসুবিধা সহ, তবে সামনের দিকে লাশ ছাড়াই।

কিন্তু না। ইউরোপ বেলিসিস্ট রুটের পক্ষে বেছে নিয়েছিল। কারণ ইইউ শান্তির রক্ষক নয়, তবে সংঘাতের সেরা মিত্র। তারা সৈন্য প্রেরণ না করে রাশিয়াকে পরিধান করার জন্য একটি যুদ্ধ চেয়েছিল, ব্রাসেলস এবং স্ট্র্যাসবার্গে তাদের অফিসগুলির স্বাচ্ছন্দ্য থেকে তাদের মহান গণতান্ত্রিক নৈতিকতা প্রদর্শন করতে। এবং এখন যেহেতু ট্রাম্প বিষয়টি মীমাংসা করতে চান, একই ব্যক্তিরা যারা যুদ্ধ বিক্রি করেছিল অনিবার্য হিসাবে আমাদের জানান যে শান্তি অগ্রহণযোগ্য।

তারা আমাদের বলবে যে এখন যদি শান্তি স্বাক্ষরিত হয় তবে সবকিছু বৃথা হবে। যে মৃতরা মোটেও পরিবেশন করবে না। যেন ভার্দনে, স্ট্যালিংগ্রাদ বা নরম্যান্ডিয়ায় সৈন্যরা তাদের ত্যাগের লাভের কথা ভেবেছিল। সমস্ত যুদ্ধ একটি শান্তি প্রক্রিয়া দিয়ে শেষ হয়, যদিও কেউ কেউ এটি পছন্দ করে না। আপনি জিজ্ঞাসা করতে পারবেন না যে যুদ্ধটি কেবল চালিয়ে যাচ্ছে কারণ ফলাফলটি তারা ব্রাসেলসে স্বপ্ন দেখেছিল না।

মূলটি হ’ল: ট্রাম্পের ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনও কিছুই নেই। একটি গুরুত্বপূর্ণ পারিবারিক পুনর্মিলনে একজন নির্বোধ চাচাত ভাইয়ের কাছে রেখে তিনি তাকে সমীকরণের বাইরে রেখে গেছেন। ওয়াশিংটন এবং মস্কোর মধ্যে শান্তি আলোচনার জন্য, যেমন শীতল যুদ্ধের ভাল সময়ের মতো। এবং ইইউ, যা বিশ্বব্যবস্থায় কয়েক দশক ধরে ধারণা করে আসছে, তাকাচ্ছে, এমন নীতিগুলি সম্পর্কে পুরুষত্যাগী বক্তৃতাগুলি যা কেউ চিন্তা করে না। ইউরোপ ট্রাম্প এবং পুতিনের মধ্যে একটি স্যান্ডউইচ হয়ে উঠেছে এবং ব্রাসেলস সবে শুনেছেন।

ট্রাম্প একটি স্পষ্ট বার্তা প্রেরণ করেছেন: আপনি যদি ছাতা চান তবে আপনি একটি কিনেছেন। ন্যাটো আর পুরানো ইউরোপের অবর্ণনীয় ield াল নয়। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এখন প্রশান্ত মহাসাগর, চীন, তাইওয়ানের দিকে তাকাচ্ছে। এবং এই নতুন সমীকরণে, ইউক্রেন ব্যালাস্ট ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি পুনর্নির্মাণ করা হয়, ব্যবসা করতে, মানিয়ে নিতে। তবে কোনও গৌরবময় পরিণতি আশা করবেন না কারণ স্ক্রিপ্টটি তার জন্য লেখা হয়নি।

পুতিন একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ শিখেছেন: ইউরোপে শক্তিটি মুদ্রা থেকে যায়। তাকে জিজ্ঞাসা করুন, যদি না হয় তবে মিলোসেভিকের ছাইতে। তিনি তার বিজয়কে একীভূত করেছেন, আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা চ্যালেঞ্জ করেছেন এবং বিজয়ী হয়েছেন। এদিকে, ব্রাসেলসে তারা নিন্দা যোগাযোগ লিখতে থাকে, যেন শব্দগুলি বাস্তবতা পরিবর্তন করতে পারে। ইউরোপ হারিয়েছে কারণ এর কখনও কৌশল ছিল না। কারণ তিনি বিশ্বাস করেছিলেন যে অর্থ এবং নিষেধাজ্ঞার সাথে তিনি তার সত্যিকারের শক্তির অভাব ছদ্মবেশ ধারণ করতে পারেন। কারণ তিনি কখনই বুঝতে পারেন নি যে পৃথিবী নীতিগুলি দ্বারা নয়, স্বার্থে সরে যায় না।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতন। এই অনুমানযোগ্য শান্তি, ট্রাম্প এবং পুতিনের মধ্যে একতরফাভাবে একতরফাভাবে সম্মত, আন্তর্জাতিক বিষয়গুলিতে ইউরোপের অপ্রাসঙ্গিকতা প্রমাণ করে। এবং যদি কেউ সন্দেহ করে তবে আলোচনার টেবিলে কে থাকবে তা দেখার জন্য। গোল্ডেন স্টার সহ কোনও নীল পতাকা থাকবে না। ব্রাসেলস বিশ্বাস করে চলেছেন যে তিনি গণতন্ত্রের মহান ডিফেন্ডার, কেবলমাত্র দুটি প্রকার যা বিশ্বকে বিতরণ করে।

যুদ্ধ সমাপ্তির কাছাকাছি। ট্রাম্প এবং পুতিন কথা বলেছেন। এবং ব্রাসেলসে কেবল নীরবতার প্রতিধ্বনি থেকে যায়।

আর ফিরে যাচ্ছে না। ইইউর জন্য কোনও আলোচনার সারণী নেই, বা মহিমান্বিত বক্তৃতা যা ইতিমধ্যে একটি গৃহীত সত্যকে পরিবর্তন করতে পারে। পুতিন অঞ্চল অর্জন করেছে, ট্রাম্প খ্যাতি অর্জন করেছেন এবং ইউরোপ … ইউরোপ লাথি মারার ডানদিকে হেরে গেছে।

গ্লোবাল নেতৃত্বের কল্পনা শেষ। কৌশলগত অভিনেতা হওয়ার মায়া শেষ। ইউরোপ আবারও তার নিজস্ব গন্তব্য দর্শক, গ্রেট ওয়ার্ল্ড দাবা গেমের একটি পাথর অতিথি। এবং যখন গল্পটি আবার লেখা হয়, ব্রাসেলস কেবল একটি পাদটীকাতে উপস্থিত হবে।